১. সংগঠনের নাম: সকল ক্ষেত্রে সংগঠনটি অৎপযরঃবপঃঁৎব অষঁসহর অংংড়পরধঃরড়হ ড়ভ ইটঊঞ নামে অভিহিত হবে।
২. নামের উৎপত্তি: সংগঠনটির সংক্ষিপ্ত নাম অৎপঅঅই, যার মধ্যে অৎপযরঃবপঃঁৎব শব্দের প্রথম তিন অক্ষর অৎপ, অষঁসহর শব্দটির অদ্যাক্ষর অ, অংংড়পরধঃরড়হ এর অ এবং ইটঊঞ এর অদ্যাক্ষর ই আছে।
৩. বুয়েট (ইটঊঞ): বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি, ঢাকা, বাংলাদেশ।
৪. নিবন্ধিত দফতর : নিবন্ধিত দফতর যাকে অৎপঅঅই প্রধান কার্যালয় বলা যায তা স্থাপত্য বিভাগ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকায় অবস্থিত।
৫. স্থান: নির্বাহী কমিটি কর্তৃক সুবিধাজনক বিবেচিত যে কোন স্থানে অৎপঅঅই দপ্তর এবং/অথবা এর কার্যক্রম পরিচালিত হতে পারে।
৬. ডাক ঠিকানা: স্থাপত্য বিভাগ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা-১০০০ অথবা নির্বাহী কমিটি কতৃক নির্ধারিত যেকোন ঠিকানা।
৭. মর্যাদা: যারা স্থাপত্য বিভাগ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা-১০০০ থেকে ডিবি লাভ করেছেন অথবা করবেন, যার প্রাক্তন ছাত্র হিসাবে গণ্য হয়েছেন অথবা হবেন, তারাই কেবল আর্কত্যাব এর সদসাপদ লাভের যোগ্যতা অর্জন করবেন। তাদের একই নামে এবং একটি একক সীল যা তারা সময়ে সময়ে ইচ্ছানুযায়ী বাতিল, পরিবর্তন অথবা নতুন করে তৈরী করতে সক্ষম হবেন। একই নামে এ সংগঠন তার কার্য পরিচালনার প্রয়োজনে আইনগত বাবস্থাদি নিতে পারে এবং একই সাথে সংগঠনের প্রয়োজনে সম্পত্তি ক্রয়, লীজ নেয়া স্বত্ব গ্রহণ, বিক্রয়, ভাড়া দেয়া, হস্তান্তর করা বা কোন অংশের যেকোন ধরনের ব্যবহার করার ক্ষমতা রাখে।
৮. লক্ষ্য ও উদেশ্য : সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিম্নে বর্ণিত হলো :
৮.১. স্থাপত্য বিভাগ, বুয়েট (যে প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা অর্জিত হয়েছে) এবং তন ছাত্র (স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রীপ্রাপ্ত) এর মধ্যে একটি যোগসুত্র স্থাপন, তা অব্যাহত রাখা ।
৮.২. স্থাপত্য বিভাগ এবং স্থাপত্য পেশার পারম্পরিক অগ্রগতির স্বার্থে সত্য যুৎসই পন্থাসমূহ নির্ণয়ের মাধমে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা যাতে আ্যালামনাইগণ অংশগ্রহণ করতে পারে।
৮.৩. যাতে প্রাক্তন ছাত্র স্থাগত্যের আলোকে সমাজ, অর্থনীতি এবং সংস্কৃতির ক্ষেত্রে উল্লেখ, প্রয়োগ ও প্রভাব সময়ে সময়ে পর্যবক্ষণ কর যায় তেমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয যার মাধামে এতে অংস্থহণ ও প্রতিদানের নতুন নতুন ক্ষেত্র প্রয়োগ করা।
৮.৪. বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের সাথে সংগঠনকে সম্পর্কযুক্ত করা।
৮.৫. রান ছাত্র এবং তাদের পরিবারের মঙ্গল সাধন করা।
৮.৬. রতন ছাত্রদের একে অপরকে অবগত রাখা।
৮.৭. স্থাপত্য বিভাগের উন্নয়নমূলক কাজ সর্ম্পকে প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে তথ্যাদি সরবরাহ করা।
৮.৮. পত্রিকা প্রকাশ করা।
৮.৯. সেমিনার, কর্মশালা, প্রদর্শনীর আয়োজন করা
৮.১০. প্রান ছাত্রদের জন্য বানাদন মূলক অনুষ্ঠানের বাবস্থা ধরা।
৮.১১. একটি স্থায়ী " অৎপঅঅই ডবষভধৎব ঋঁহফ " গঠনের জন্য কার্যকর উাদ্দোগ গ্রহণ করা যায় মূল উদ্দেশ্য নিম্নরূপঃ
৮.১১.ক. বুয়েটের স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রী কোর্সে অধায়নরত ছাত্র/ছাত্রীদের বৃত্তি দান করা।
৮.১১.খ. সংগঠনের গ্রস্থাগার এবং স্থাপত্য বিভাগের জন্য বই, প্স্তুক ও পত্রিকা ক্রয় করা।
৮.১১.গ. স্থাগত্য বিভাগের বিভিন্ন কাজ ও গবেষণার নিমিত্তে মালামাল ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ে সাহায্য করা।
৮.১১.ঘ. প্রাক্তন ছাত্রীছাত্রী যারা বিভিন্ন সেমিনার/কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করবেন তাদের যাতায়াত ও আনুসাঙ্গিক খরচ প্রয়োজন বোধে সংস্থান করা।
৮.১২. বিশ্বব্যাপী স্থাপত্য বিদ্যা শিক্ষার সাথে স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম তাল মিলিয়ে চলতে সাহায্য করা।
৮.১৩. রান ছাত্র-ছাত্রী, বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের স্বার্থে যে কোন উদ্যোগ, সংগঠন যদি যথাযথ মনে করে, তার বাবস্থা গ্রহণ করা।
৮.১৪. সংগঠনের উদ্দেশ অনুযায়ী সম্পদ আহরনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করা।
৮.১৫. দেশে ও বিদেশের বিভিন্ন প্রাক্তন ছাত্র সংগঠনের অনুরূপ কাজে সমন্বয় সাধন করা ।
৮.১৬. বাংলাদেশ স্থপতি ইন্সটিটিউটের কার্যক্রমের পরিপূরক হিসাবে অবস্থান গ্রহণ করা।
৯. সদস্য পদের যোগাতা ও অধিকার
৯.১. নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণ সংগঠনের সদস্যপদ লাভের জন্য আবেদন করতে পারবেন :
৯.১.ক. বিলুপ্ত পূর্ব পাকিস্তান প্রকৌশল ও কারিগরী বিশ্ববিদ্যালয় (ঊচটঊঞ) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (ইটঊঞ) থেকে স্নাতক স্থাপত্য ডিগ্রী অর্জনকারী ব্যক্তি।
৯.১.খ. বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (ইটঊঞ) থেকে স্থাপত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জনকারী ব্যক্তি।
৯.২. এ গঠনতন্ত্রের আওতায় সকল অধিকার ও সুবিধাদি যে কোন সদস্য ভোগ করবেন।
৯.৩. ৯.৫ ধারা নিশ্চিতি সাপেক্ষে নির্বাহী কমিটির নির্বাচনে যে কোন সদস্য ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
৯.৪. নির্বাহী কমিটির একটি পদের মনোনয়নের জন্য যে কোন সদস্য আবেদন করতে পারবেন ।
৯.৪.ক. নির্বাচনে উপস্থিত থেকে যে কোন সদস্য তার সদস্যপদের সকল বকেয়া হাল নাগাদ পরিশোধ সাপেক্ষে প্রতিটি নির্বাহী কমিটির পদের জন্য একটি ভোট প্রদান করতে পারবেন ।
৯.৫. অন্য সদস্যের পরিবর্তে কোন প্রক্সি ভোট প্রদান গ্রহণযোগ্য নয়।
১০. সম্মাননা সদস্যপদ : যোগ্যতা ও অধিকার
১০.১. যে কোন ব্যক্তি অথবা দলগতভাবে যে কোন ব্যক্তিবর্গের অবদান বিবেচনা সাপেক্ষে সংগঠনের সম্মাননা সদস্যপদ প্রদান করতে পারবেন।
১০.২. এ গঠনতন্ত্রের অধীনে সকল অধিকার ও সুবিধাদি সম্মাননা সদস্য ভোগ করতে পারবেন। তিনি নির্বাহী কমিটির নির্বাচনে ভোট প্রদান করতে পারবেন না।
১০.৩. সম্মাননা সদস্যপদ লাভের জন্য কোন আবেদন করতে হবে না।
১০.৪. সম্মাননা সদস্যকে নিবন্ধন ও বার্ষিক চাদা প্রদান করতে হবে না।
১১. আজীবন সদস্য পদ :
১১.১. এক লক্ষ টাকা অথবা সংগঠনের নির্বাহী কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত অর্থ অৎপঅঅই এর অনুকূলে জমা প্রদান সাপেক্ষে সংগঠনের যে কোন সদস্য আজীবন সদস্যপদ লাভ করতে পারবেন।
১১.২. যে কোন আজীবন সদস্যকে সংগঠনের বার্ষিক চাদা প্রদান করতে হবে না।
১১.৩. অন্যান্য সুবিধাদি ভোগ ছাড়াও একজন আজীবন সদস্য সংগঠনের নির্বাহী কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত আর্থিক ছাড়া ভোগ করতে পারবেন।
১২. সদস্যপদ লাভের জন্য আবেদন পত্র :
১২.১. সংগঠন কর্তৃক নির্ধারিত আবেদন পত্রে আবেদন করতে হবে এবং সদস্যপদ লাভের জন্য সংগঠনের নির্বাহী কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে সংগঠনের সদস্যপদ লাভ করতে পারবেন ।
১৩. ১৩.১. যে কোন আদালতে দোষী সাভ্যস্ত হলে অথবা অৎপঅঅই এর স্বার্থ বিরোধী কার্যকলাপে সংশিষ্ট হলে সংগঠনের সাধারন সভায় সহজ ৫১% সংখ্যা পরিষ্ঠতায় যে কোন সাধারন অথবা সহযোগী সদস্যের সদস্যপদ একটি নির্ধারিত মেয়াদ অথবা আজীবন সময়ের জন্য বাতিল হবে।
১৪. চাঁদা - নিবন্ধিকরণ ও বার্ষিক :
১৪.১. সংগঠনের সদস্যপদ লাভের জন্য নির্বাহী কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত নিবন্ধিকরণ চাদা প্রদান করে সংগঠনে নিবন্ধিত হতে হবে।
১৪.২. সংগঠনের একজন সাধারন সদস্যকে সংগঠনের নির্বাহী কমিটি কর্তৃক এ বৎসরের জন্য নির্ধারিত বার্ষিক চাঁদা প্রদান করতে হবে।
১৪.৩. জানুয়ারী থেকে ডিসেম্বর মাস অথবা এর ভগ্নাংশের জন্য বার্ষিক চাঁদা প্রদান করতে হবে।
১৪.৪. দেশে এবং বিদেশে বসবাসরত সংগঠনের সদস্যদের নিবন্ধকরণ ফি, বার্ষিক চাঁদা ও অন্যান্য চাঁদা বাবদ মোট অর্থের পরিমাণ ভিন্ন হবে যা সংগঠনের নির্বাহী কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত হবে ।
১৪.৫. যদি কোন সদস্যের দুই বৎসরের অধিক কালের বার্ষিক চাদা বকেয়া হয় সে ক্ষেত্রে তার সদস্যপদ সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা যেতে পারে।
১৪.৬. এ গঠনতন্ত্রে ১৪.৫ ধারা অনুযায়ী বরখাস্তকৃত সদস্যকে নতুন সদস্যপদ লাভের জন্য নতুন করে নিবন্ধিত করন ফি ও এ বৎসরের বার্ষিক চীদা প্রদান করতে হবে।
১৫. নিবন্ধন গ্রন্থ:
১৫.১. সংগঠনের কার্য্যালয় সকল সদস্যদের একটি নিবন্ধন তালিকা রাখা হবে।
১৫.২. যে কোন সদস্যের দুই বৎসর সময়ের অধিক বার্ষিক চাদা অনাদায়ী হলে তার সদস্যপদ নিবন্ধন গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত থাকার উপযুক্ত হবে না।
১৬. নির্বাহী কমিটি :
১৬.১. সংগঠনের সকল কার্যক্রম একটি নির্বাহী কমিটি দ্বারা পরিচালিত হবে।
১৬.২. সংগঠনের নির্বাহী কমিটি এই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংগঠনের সদস্যদের দ্বারা সরাসরি ভোটে দুই বৎসর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হবেন।
১৬.৩. নির্বাহী কমিটির গঠন কাঠামো নিম্নরূপ :
১৬.৩.ক. সভাপতি
১৬.৩.খ. সহ-সভাপতি (১)
১৬.৩.গ. সহ-সভাপতি (২)
১৬.৩.ঘ. সাধারন সম্পাদক
১৬.৩.৬. কোষাধ্যক্ষ
১৬.৩.চ. যুগ সম্পাদক
১৬.৩.ছ. সদস্যপদ সম্পাদক
১৬.৩.জ. কল্যাণ সম্পাদক
১৬.৩-ঝ. খেলাধুলা ও সংস্কৃতি সম্পাদক
১৬.৩.ঞ. প্রকাশনা সম্পাদক
১৬.৩.ট. সর্বশেষ আর্কঅ্যাব নির্বাহী কমিটির সভাপতি (পদাধিকার বলে)
১৬.৩.ঠ. বিভাগীয় প্রধান, স্থাপত্য বিভাগ, বুয়েট (পদাধিকার বলে)
১৭. সংগঠনের নির্বাহী কমিটি সদস্যদের দায়িত্বঃ
১৭.১. সভাপতি :
১৭.১.ক. সমিতির সকল সভার সভাপতিত্ব করবেন।
১৭.১.খ. তিনি নির্বাহী কমিটির সর্বোচ্চ সদস্যরূপে বিবেচিত হবেন এবং কমিটির সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনার দ্বায়িত্বে থাকবেন।
১৭.১.গ. সরকারী অথবা বেসরকারী যে কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে সংগঠনের প্রতিনিধি হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করবেন।
১৭.১.ঘ. নির্বাচনে তিনি একটি করে ভোট প্রদান করবেন, তবে নির্বাচনে ভোট প্রাপ্তি সমান সমান হলে তিনি অতিরিক্ত ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে অবস্থার নিষ্পত্তি করতে পারবেন।
১৭.২. সহ-সভাপতি :
১৭.২.ক. সংগঠনের সভাপতির অনুপস্থিতিতে সংগঠনের সকল কাজ ও দ্বায়িত্ব পালন করবেন।
১৭.২.খ. নির্বাহী কমিটি কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে কোন দায়িত্ব পালন করবেন।
১৭.৩. সাধারণ সম্পাদক :
১৭.৩.ক. সভাপতির পরামর্শ অনুযায়ী সকল সভা আহবান করবেন।
১৭.৩.খ. সকল সভার কার্যবিবরণী প্রস্তুত ও সংরক্ষণ করবেন।
১৭.৩.গ. প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন।
১৭.৩.ঘ. সংগঠনের নিয়ম ও বার্ষিক বাজেট কাঠামো অনুযায়ী সংগঠনের পক্ষে আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন।
১৭.৩.ঙ. সংগঠনের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রস্তুত ও তা বার্ষিক সাধারন সভায় উপস্থাপন করবেন।
১৭.৪. কোষাধ্যক্ষ :
১৭.৪.ক. সংগঠনের সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ও সকল আর্থিক লেনদেন এর জন্য সরাসরি দায়ী থাকবেন।
১৭.৪.খ. সংগঠনের অনুকূলে প্রাপ্ত ও সংগঠনের কাজে ব্যয়কৃত সকল আর্থিক লেন-দেন এর সর্বশেষ হিসাব রাখবেন এবং তা হিসাব সংরক্ষন বইতে লিপিবদ্ধ করবেন।
১৭.৪.গ. সংগঠনের সভাপতি বা সাধারন সম্পাদকের সাথে যুগ স্বাক্ষরে সংগঠনের ব্যাংক একাউন্টের হিসাব পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবেন।
১৭.৪.ঘ. বছরের শুরুতে বার্ষিক বাজেট প্রস্তুত ও তা নির্বাহী কমিটির অনুমোদন নেবেন।
১৭.৪.ঙ. নির্বাহী কমিটির অনুমোদনক্রমে তার কাজের মেয়াদান্তে সংগঠনের কাজের তারিখ সহ আয়-ব্যয় বিবরনী প্রস্তুত করবেন এবং একটি স্থিতিপত্র তৈরী করবেন।
১৭.৪.চ. নির্বাহী কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত বাজেট অনুযায়ী কার্য পরিচালনা করবেন এবং নির্বাহী কমিটি দ্বারা প্রণীত আর্থিক বিধিবিধান অনুসরন করবেন।
১৭.৫. যুগ সম্পাদক :
১৭.৫.ক. সাধারন সম্পাদকের সকল কাজে সহায়তা প্রদান করবেন।
১৭.৫.খ. সাধারন সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তার দায়িত্ব পালন করবেন।
১৭.৫.গ. নির্বাহী কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত অন্য যে কোন প্রকার দায়িত পালন করবেন।
১৭.৬. সদস্য পদ সম্পাদক :
১৭.৬.ক. সদস্যপদ সম্পর্কিত বিষয়ের দায়িত্বে থাকবেন এবং নির্বাহী কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত যে কোন কাজ করবেন।
১৭.৭. কল্যাণ সম্পাদক
১৭.৭.ক. সংগঠনের সদস্যদের মঙ্গল সাধন সম্পর্কিত কাজের দায়িত্বে থাকবেন এবং নির্বাহী কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত অন্য যে কোন কাজ করবেন।
১৭.৮. খেলাধুলা ও সংস্কৃতি সম্পাদক
১৭.৮.ক. সংগঠনের সদস্যদের মনোরঞ্জনের জন্য সময় সময়ে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন এবং নির্বাহী কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত অন্য যে কোন কাজ করবেন।
১৭.৯. প্রকাশনা সম্পাদক
১৭.৯.ক. সংগঠনের সকল প্রকার প্রকাশনা সম্পর্কিত কাজের দায়িত্ব থাকবেন এবং নির্বাহী কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত যে কোন কাজ করবেন।
১৮. নির্বাহী কমিটির মেয়াদ :
১৮.১. নির্বাহী কমিটির মেয়াদ দুই বৎসর হবে।
১৮.২. ত্রমান্বয়ে দুই মেয়াদ দায়িত্ব পালনের পর সভাপতি পদে একই সদস্য পুনঃনির্বাচনের জন্য যোগ্য হবেন না।
১৮.৩. নির্বাহী কমিটির কোন পদের বিপরীতে কোন সদস্য পদত্যাগ করলে অথবা কোন সদস্য মৃত্যু বরণ করলে, নির্বাহী কমিটি যে কোন সদস্য দ্বারা শূন্য পদটি পূরণ করবেন।
১৯. নির্বাহী কমিটির ক্ষমতা :
১৯.১. এ গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী সংগঠনের পক্ষে সংগঠনের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করার ক্ষমতা নির্বাহী কমিটির উপর ন্যাস্ত থাকবে।
১৯.২. যে কোন কাজের জন্য যে কোন সময়ে নির্বাহী কমিটি সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে উপ-কমিটি গঠন করতে পারবে।
১৯.৩. সংগঠন 'কল্যান তহবিল" গঠনের জন্য একটি উপ-কমিটি গঠন করবে।
১৯.৪. সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য নির্বাহী কমিটি যে কোন সহযোগী প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করতে পারবে ।
১৯.৫. নির্বাহী কমিটি উহার সময় কালীন সময়ের হিসাব, রশিদ পত্র ও খরচের বিবরণ সাধারন সভায় উপস্থাপন ও আলোচনার জন্য উম্মুক্ত রাখবে ।
১৯.৬. সমিতির তহবিল থেকে বিভিন্ন খরচের জন্য যে কোন অংকের অর্থ তোলার ক্ষমতা নির্বাহী কমিটির থাকবে ।
২০. নির্বাহী কমিটির সভা :
২০.১. নির্বাহী কমিটির সভা অৎপঅঅই প্রধান কার্য্যালয়ে সাধারনতঃ অনুষ্ঠিত হবে।
২০.২. সভা আহবানের জন্য সভাপতি সংগঠনের সাধারন সম্পাদককে নির্দেশ দিবেন।
২০.৩. সভার তারিখের সাত দিন পূর্বে আলোচ্য বিষয় উল্লেখ সহ নোটিশ নির্বাহী কমিটির সদস্যদের প্রেরণ করতে হবে।
২০.৪. চব্বিশ ঘন্টার নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে নির্বাহী কমিটির জরুরী সভা আহবান করতে পারবে ।
২০.৫. প্রতি ষাট (৬০) দিনে নৃন্যপক্ষে একবার নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে।
২০.৬. নির্বাহী কমিটির সভার কোরাম কমিটি সদস্য সংখ্যার এক তৃতীয়াংশ ।
২০.৭. মুলতবী সভায় কোরামের প্রয়োজন নেই।
২০.৮. সভায় অংশ গ্রহণের জন্য কমিটির সদস্যদের উপযুক্ত যাতায়াত ভাতা প্রদান করা যেতে পারে।
২১. উপ-কমিটি :
২১.১. নির্বাহী কমিটি, এ গঠনতন্ত্রের ধারা
১৯.২. অনুযায়ী কমিটির সদস্য সমন্বয়ে উপ-কমিটি গঠন করবে ।
২১.২. ২১.১. ধারা অনুযায়ী উপ-কমিটি প্রধান নির্বাহী কমিটির একজন সদস্য হবেন ।
২১.৩. নির্বাহী কমিটি উপ-কমিটিকে যে কোন ক্ষমতা প্রদান করতে পারবে ।
২১.৪. যে কোন উপ-কমিটি সংগঠনের নির্বাহী কমিটির কাছে দাডবদ্ধ থাকবে।
২১.৫. সাধারন সভায় সাধারন সম্পাদকের প্রতিবেদনে উপ-কমিটির কর্মকান্ডের বিস্তারিত উলেখ থাকবে।
২২. নির্বাচন কমিশনার :
২২.১. যে সদস্যের হাল নাগাদ চাঁদা এ গঠনতন্ত্রের ১৪.২. ধারা মতে পরিশোধিত হয়েছে তিনি নির্বাচন কমিশনার পদের জন্য গণ্য হতে পারবেন।
২২.২. নির্বাহী কমিটি নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশনার চার জন সদস্য নিযুক্ত করতে পারবেন।
২২.৩. গঠনতন্ত্রের ২২.২. ধারা মতে নিযুক্ত সদস্যদের হাল নাগাদ চাঁদা পরিশোধিত হতে হবে ।
২২.৪. নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন পরিচালনার জন্য নিযুক্ত সকল সদস্য নির্বাহী কমিটির কোন পদে নির্বাচন করার যোগ্য হবেন না।
২৩. নির্বাহী কমিটির নির্বাচন : গ্রহণযোগ্যতা, নিয়মাবলী ও বাতিল করণ
২৩.১. নির্বাহী কমিটি নির্বাচন মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সাত (৭) দিন পূর্বে নির্বাহী কমিটি ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে।
২৩.২. নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনের তপসিল মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার ২ (দেই) সপ্তাহ পূর্বে যে সকল সদস্যের চাঁদা সর্বশেষ সাধারন সভা নাগাদ পরিশোধিত, তাদের অবগতির জন্য প্রকাশ করবেন।
২৩.৩. নির্বাচন কমিশনার এই গঠনতন্ত্রের বিধান সমূহ সমুন্নত রেখে নির্বাচন পরিচালনার জন্য যে কোন ধারা বা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন।
২৩.৪. নির্বাচন তফসিলে নির্বাচন প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমা ও প্রত্যাহারের তারিখ ও সময় এবং যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের এবং নির্বাচনের তারিখ ও সময়ের উল্লেখ থাকতে হবে ।
২৩.৫. নির্বাচন কমিশনার মনোনয়ন পত্র বিক্রয় করতে পারবেন।
২৩.৬. একজন সদস্য বা তার প্রতিনিধি যে কোন সংখ্যক পদের জন্য মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।
২৩.৭. একজন সদস্য যে কোন সংখ্যক পদের জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারবেন, তবে নির্বাচন কমিশনারের প্রদত্ত মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের তারিখ ও সময়ের মধ্যে তাকে একটি পদ ব্যতীত বাকী সকল পদের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করতে হবে । অন্যথায় তার সকল মনোনয়ন পত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।
২৩.৮. যে কোন মনোনয়ন পত্রে প্রার্থী, মনোনয়ন প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীর নাম, সদস্য নম্বর ও স্বাক্ষর সম্বলিত হতে হবে এবং তাদের সকলকেই ভোটার হতে হবে ।
২৩.৯. শুধুমাত্র যোগ্য ভোটাররাই নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন।
২৩.১০. মনোনয়ন পত্রে প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী ভোটাররা ঐ পদের জন্য ভোট প্রদানের অধিকার প্রাপ্ত হবেন।
২৩.১১. একজন প্রার্থী নিজের মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবকারী বা সমর্থনকারী হতে পারবেন না।
২৩.১২. নির্বাচন প্রক্রিয়া এমন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে যাতে ভোটাররা নির্বিঘ্নে এবং কোন প্রকার চাপের উপস্থিতি ছাড়াই ভোট প্রদান করতে পারবেন।
২৩.১৩. একজন ভোটার একটি পদের জন্য একটি মাত্র ভোট প্রদান করতে পারবেন ।
২৩.১৪. যদি কোন পদের জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শুধুমাত্র একজন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দেন তবে নির্বাচন কমিশনার তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত বলে ঘোষণা করতে পারবেন।
২৩.১৫. ভোট প্রদানের সময় শেষ হওয়ার একঘন্টা পরে ভোট গণনা শুরু হবে।
২৩.১৬. যে কোন প্রার্থী বা তার প্রতিনিধি ভোট গণনার সময় উপস্থিত থাকতে পারবেন।
২৩.১৭. সহ-সভাপতি ১ ও ২ ছাড়া যে কোন পদে সবচেয়ে বেশী ভোট প্রাপ্ত প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনার নির্বাচিত ঘোষণা করতে পারবেন।
২৩.১৮. সহ-সভাপতি ১ ও ২ আসনের জন্য সবচেয়ে বেশী ভোট প্রাপ্ত প্রার্থীকে সহ-সভাপতি-১ ও পরবর্তী প্রার্থীকে সহ-সভাপতি-২ আসনে নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।
২৩.১৯. কোন পদের জন্য প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা যে কোন সংখ্যক প্রার্থীর জন্য সমান হলে লটারীর মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হবে।
২৩.২০. ভোট গণনা প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর নির্বাচন কমিশনার যথাসম্ভব দ্রুত লিখিত আকারে ভোটার তালিকা প্রকার প্রকাশ করবেন।
২৩.২১. নির্বাচন কমিশনার যে কোন কারণের জন্য নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করতে পারবেন।
২৪. হিসাব :
২৪.১. সংগঠনের সকল প্রকার আয়-ব্যয় সংক্রান্ত হিসাব রক্ষনের দায়িত্ব কোষাধ্যক্ষের উপর ন্যসন্ত থাকবে।
২৪.২. সংগঠনের অনুকূলে যাবতীয় পাওনা কোষাধ্যক্ষ তৎকালীন সময়ের জন্য একটি মুদ্রিত রশিদের মাধ্যমে গ্রহণ করবেন। একটি পাওনা গ্রহণের জন্য কেবল একটি রশিদ ব্যবহার করা হবে।
২৪.৩. প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী সংগঠনের আয়-ব্যয় একটি বহিতে লিপিবদ্ধ করতঃ হিসাব রক্ষণ/পরিচালনা করবেন।
২৪.৪. যে কোন তপছিলভূক্ত সরকারী অথবা বেসরকারী ব্যাংকে সংগঠনের অর্থ গচ্ছিত রাখতে হবে ।
২৪.৫. ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ উত্তোলন সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ এবং সংগঠনের সভাপতি বা সাধারন সম্পাদকের যুগ স্বাক্ষরিতচেকের মাধ্যমে করতে হবে।
২৪.৬. জরুরী পরিস্থিতিতে সংগঠনের সভাপতি, নির্বাহী কমিটির অনুমোদন ছাড়া সর্বাধিক ১০.০০০/- (দশ হাজার) টাকা উত্তোলন করতে পারবেন । তবে পরবর্তীতে তাকে নির্বাহী কমিটির নিকট এ উত্তোলনের কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে।
২৪.৭. সংগঠনের আয়-ব্যয় হিসাব এ গঠনতন্ত্রের ধারা ১৭.৪.উ. অনুযায়ী বার্ষিক ভিত্তিতে নিরীক্ষা করতে হবে যা পরবর্তী সাধারন সভায় উপস্থাপন করতে হবে।
২৪.৮. সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ বার্ষিক বাজেট প্রস্তুত করবেন যা অনুমোদনের জন্য সাধারন সভায় উপস্থাপন করতে হবে।
২৪.৯. পূর্বানুমতি সাপেক্ষে সংগঠনের হিসাব সকল সদস্যের নিকট উম্মুক্ত থাকবে ।
২৫. সম্পদ :
২৫.১. সম্পদের অধিকার
২৫.১.ক. সংগঠনের সাধারন সম্পাদক বরাবর পূর্ব অবগতি সাপেক্ষে সংগঠনের সকল সম্পদ অর্থাৎ এর বই পুস্তক, ড্রইং ও অন্যান্য যাবতীয় সম্পদ ইত্যাদি সকল সদস্যের নিকট উম্মুক্ত থাকবে ।
২৫.২. নির্বাহী কমিটির অনুমতি ছাড়া সংগঠনের সম্পদ সংগঠনের কার্ষ্যালয়ের বাহিরে নেয়া যাবে না।
২৬. সাধারন সভা :
২৬.১. সংগঠনের বার্ষিক সাধারন সভা কনভেনশন বলে অভিহিত হবে ।
২৬.২. কেবলমাত্র : অৎপঅঅই এর সদস্যগণ সক্রিয়ভাবে কনভেনশনে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন।
২৬.৩. সাধারন সভা প্রতি দুইবছরে একবার বিশেষ করে নভেম্বর বা ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হবে।
২৬.৪. সাধারন সভার নির্ধারিত তারিখের ১৪ (চৌদ্দ) দিন পূর্বে সভার আলোচ্য সূচীসহ নোটিশ যে সকল সদস্যদের চাঁদা হাল নাগাদ অথবা সর্বশেষ সাধারন সভা নাগাদ পরিশোধিত আছে তাদের নিকট প্রেরণ করতে হবে ।
২৬.৫. সাধারন সভা/সম্মেলন নির্বাহী কমিটি সম্পর্কে রূপরেখা প্রদান করবে ।
২৬.৬. যে সকল সদস্যদের চাঁদা হাল নাগাদ পরিশোধিত আছে তাদের এক-তৃতীয়াংশের উপস্থিতি কোরাম বলে গণ্য হবে।
২৬.৭. নির্বাহী কমিটি অথবা সাধারন সভার জন্য নির্ধারিত কার্যক্রম অনুযায়ী সম্মেলন পরিচালনা করবে যা নিয়ে দেয়া হলো । (ক্রমানুযায়ী নয়)
২৬.৭.ক. সভাপতির ভাষণ ।
২৬.৭.খ. সাধারন সম্পাদক কর্তৃক বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন ।
২৬.৭.গ. কোষাধ্যক্ষ কর্তৃক বার্ষিক হিসাব উপস্থাপন ।
২৬.৭.ঘ. কোষাধ্যক্ষ কর্তৃক বার্ষিক বাজেট উপস্থাপন ।
২৬.৭.ঙ. সভাপতির অনুমতি প্রাপ্তি সাপেক্ষে সাধারন সম্পাদক কর্তৃক উপস্থাপিত বার্ষিক প্রতিবেদন, বার্ষিক হিসাব, বার্ষিক বাজেট ইত্যাদি এজেন্ডাভুক্ত বিষয়াবলীর উপর সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের আলোচনা ।
২৬.৭.চ. অডিটর নিয়োগ।
২৬.৭.ছ. পরবর্তী নির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠান ।
২৭. বার্ষিক পুনর্মিলনী :
২৭.১. সংগঠনের পুনর্মিলনী প্রতি বৎসরে একবার হবে।
২৭.২. সদস্য, সম্মাননা সদস্য, অতিথি বার্ষিক পুনর্মিলনীতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন ।
২৭.৩. বার্ষিক পুনর্মিলনী নির্বাচিত নির্বাহী কমিটি কর্তৃক গৃহীত প্রোগ্রাম অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
২৭.৪. সনদপত্র, মেডেল এবং অন্যান্য বৈশিষ্টমূলক সম্মাননা যদি থাকে তা বার্ষিক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রদান করা যাবে।
২৮. বিশেষ সাধারন সভা :
২৮.১. সংগঠনের স্বার্থ আছে এমন মনে হলে স্ব-উদ্যোগে সভাপতি বিশেষ সাধারন সভা আহবান করতে পারবেন।
২৮.২. সংগঠনের যে সকল সদস্যের বার্ষিক চাঁদা হাল নাগাদ অথবা সর্বশেষ সাধারন সভা পর্যন্ত পরিশোধিত আছে তাদের এক-তৃতীয়াংশের উপস্থিতি কোরাম বলে গণ্য হবে।
২৯. তলবী বিশেষ সাধারন সভা :
২৯.১. সদস্যগণ যাদের চাঁদা হাল নাগাদ অথবা সর্বশেষ সাধারন সভা পর্যন্ত পরিশোধিত আছে তাদের মধ্যে নুন্যতম ৫০ (পঞ্চাশ) জন সদস্যের স্বাক্ষরিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সভাপতি তলবী বিশেষ সাধারন সভা ডাকতে পারবেন।
২৯.২. সভাপতি তলবী সভার দিন ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে অনুষ্ঠানের জন্য সাধারন সম্পাদককে অনুরোধ করবেন। তবে তা অনুষ্ঠিত না হলে আবেদনকারীগণ স্ব-উদ্যোগে সেই সভা অনুষ্ঠিত করতে পারবেন।
২৯.৩. সদস্যগণ যাদের চাঁদা হাল নাগাদ অথবা সর্বশেষ সাধারন সভা পর্যস্ত পরিশোধিত আছে তাদের এক-তৃতীয়াংশ কোরাম বলে গণ্য হবে।
২৯.৪. তলবী সভার আলোচ্যসূটা অন্তত বিষয়াবলী সভায় আলোচিত হবে।
৩০. সভা পরিচালনা :
৩০.১. সংগঠনের সভাপতি সম্মেলন, সাধারন সভা, বিশেষ সাধারন সভা, তলবী সভা, নির্বাহী কমিটির সভা, তলবী নির্বাহী কমিটি সভার সভাপতিত্ব করবেন।
৩০.২. সভাপতির অনুপস্থিতিতে ক্রমানুযায়ী প্রথম ও দ্বিতীয় সহ-সভাপতি সভাপতিত্ব করবেন।
৩০.৩. সভাপতি ও উভয় সহ-সভাপতির অনুপস্থিতিতে উপস্থিত সদস্যগণ তাদের মধ্যে একজন সদস্যকে সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত করবেন।
৩১. সভার বিবরণী :
৩১.১. সাধারন সভা, বিশেষ সাধারন সভা, তলবী সভা, নির্বাহী কমিটির সভা অথবা তলবী নির্বাহী কমিটির সভায় অংশগ্রহণের জন্য উপযুক্ত সদস্যদের নিকট সেই সভার কার্যবিবরণী প্রেরণ করতে হবে এবং একই সাথে তা তাদের নিকট যুক্তিগ্রাহ্য করে দেখার জন্য উম্মুক্ত রাখতে হবে।
৩২. উপ-ধারা :
৩২.১. গঠনতন্ত্র বর্ণিত সংস্থানের আলোকে যে কোন উপ-ধারা গঠন ও অনুমোদনের জন্য নির্বাহী কমিটি ক্ষমতাপ্রাপ্ত।
৩২.২. সংগঠনের যথাযথ প্রকাশনায় উপ-বিধি প্রণয়ন, বাতিল, পরিবর্তন অথবা সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি যথাসম্ভব দ্রুত প্রকাশ করতে হবে। এমনভাবে প্রকাশিত বিজ্ঞাপন যে তারিখে প্রকাশিত হয়েছে, সে তারিখে সদস্যদের বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে বলে ধরে নেয়া হবে।
৩৩. গঠনতন্ত্র ও উপ-ধারার ব্যাখ্যা :
৩৩.১. সংগঠনের গঠনতন্ত্র অথবা উপ-ধারার ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে সন্দেহ অথবা বিবাদ দেখা দিলে নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
৩৪. গঠনতন্ত্র সংশোধন :
৩৪.১. সাধারন সভা, বিশেষ সাধারন সভা এবং তলবী সভায় গঠনতন্ত্র সংশোধন করা যেতে পারে।
৩৪.২. নির্বাহী কমিটি গঠনতন্ত্র সংশোধনের প্রস্তাব উত্থাপন করতে পারে।
৩৪.৩. সংগঠনের সাধারন সম্পাদক বরাবর ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখের পূর্বে যে সকল সদস্যের চাঁদা হাল নাগাদ অথবা সর্বশেষ সাধারন সভা পর্যন্ত পরিশোধিত আছে তাদের মধ্যে নূন্যপক্ষে ১৫ (পঁনের) জন সদস্যের স্বাক্ষরিত গঠনতন্ত্র প্রস্তাব প্রেরণ করতে হবে যেন পরবর্তী সাধারন সভায় তা উপস্থাপন করা যেতে পারে।
৩৪.৪. যে সকল সদস্যের চাঁদা হাল নাগাদ অথবা সর্বশেষ সাধারন সভা পর্যন্ত পরিশোধিত আছে তাদের দুই-তৃতীয়াংশ যে কোন সংশোধন অনুমোদন করতে পারবেন।
৩৫. সীল :
৩৫.১. যে সকল সনদ, চুক্তিপত্র অথবা দলিলে সংগঠনের সীল প্রদান প্রয়োজন হবে সে গুলিতে সংগঠনের সাধারন সম্পাদক স্বাক্ষর ও সীল প্রদান করবেন।
৩৬. সালিশ :
৩৬.১. সংগঠনের অবসান কল্পে আহবানকৃত বিশেষ সাধারন সভায় দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য কর্তৃক সংগঠনের অবসান করা যেতে পারে।
৩৭.১. সংগঠনের গঠনতন্ত্র অধীনে সদস্যের অধিকার ও দায়িত্বে মধ্যে যদি বিরোধ দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে তা সালিশি আইন ১৯৪১ অনুযায়ী নিষ্পত্তি করা হবে।